অথেন্টিক বিউটি প্রোডাক্ট কিভাবে চিনবেন?
অথেন্টিক বিউটি প্রোডাক্ট কিভাবে চিনবেন?
বাংলাদেশের বাজারে বিউটি প্রোডাক্টের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু সেই সাথে নকল প্রোডাক্টের সংখ্যাও বেড়েছে। অনেক সময় ব্র্যান্ডেড পণ্যের আড়ালে নকল কসমেটিকস চলে আসে, যা শুধু অর্থের অপচয় নয়, বরং ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।
অথেন্টিক বিউটি প্রোডাক্ট কিভাবে চিনবেন |
এই প্রোডাক্টগুলোতে থাকে নিম্নমানের কেমিক্যাল যা ত্বকে অ্যালার্জি থেকে শুরু করে স্কিন ডিজিজ, এমনকি ক্যান্সারও সৃষ্টি করতে পারে। তাই আসল প্রোডাক্ট চেনার কৌশল জানা জরুরি।
এই প্রতারণার সম্মুখীন হয় যখন একটি নন প্রফেশনার অলাইন প্ল্যাটফর্মে কেনা কাটা করে। অনেক অসাধু ব্যাবসায়ীরা অনলাইনে ক্রেতাদের সাথে প্রতি নিয়ত প্রতারণা করে আসছে । আপনার প্রডাক্ট অনলাইন প্রডাক্টস কেনার ক্ষেত্রে প্রথমত একটি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড সিলেক্ট করা।
আসুন জেনে নেই কিছু সহজ উপায় যা আপনাকে অথেনটিক বিউটি প্রোডাক্ট কেনায় সাহায্য করবে।
১. প্যাকেজিং ভালোভাবে পরীক্ষা করুন
অথেনটিক প্রোডাক্টের প্যাকেজিং সাধারণত খুব হাই-কোয়ালিটির ও আকর্ষণীয় হয়। স্পষ্ট লেখার পাশাপাশি সঠিক বানান এবং সুন্দরভাবে ছাপানো থাকে। অন্যদিকে, নকল প্রোডাক্টে ঝাপসা লেখা, ভুল বানান বা অসমান অক্ষর দেখা যায়। তাই প্যাকেজিংয়ের মান দেখে কিছুটা অনুমান করা যায়।
২. বারকোড এবং সিরিয়াল নাম্বার যাচাই করুন
অনেক বিউটি ব্র্যান্ড তাদের প্রোডাক্টে বারকোড এবং সিরিয়াল নাম্বার ব্যবহার করে থাকে। নকল প্রোডাক্টে এই সিরিয়াল নাম্বারগুলো প্রায়ই থাকে না, আর থাকলেও তা যাচাইয়ের জন্য অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে দেখে নিতে পারেন। বিএসটিআই অনুমোদিত পণ্য কিনা যাচাই করুন। বারকোডের প্রথম তিনটি সংখ্যা উৎপাদনকারী দেশের কোড হিসেবে থাকে, যা আসল প্রোডাক্টে ঠিক থাকে।
৩. দাম যাচাই করুন
যদি কোনো প্রোডাক্টের দাম "অত্যন্ত সস্তা" মনে হয়, তবে সেটি আসল হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিশেষ করে বাংলাদেশে নকল প্রোডাক্টগুলোকে সস্তা দামে বিক্রি করা হয় যাতে ক্রেতারা সহজেই প্রলোভন হন। আসল প্রোডাক্ট কেনার আগে বাজারে তার প্রকৃত দাম কত তা একটু যাচাই করুন।
৪. নির্ভরযোগ্য বিক্রেতা থেকে কিনুন
বিশেষ করে অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে, বিক্রেতার রেটিং ও ফিডব্যাক দেখে নিন। অনেক সময় ভুয়া পেজ থেকে নকল প্রোডাক্ট বিক্রি করা হয়। অফিসিয়াল অথবা অথরাইজড ডিলারের কাছ থেকে কেনাকাটায় সবসময় নিরাপদ। অনলাইনে নিরাপদ কেনাকাটার আপনার জন্য আরোগ্য বিউটি ষ্টোরপাশে আছে। আপনার যা প্রয়োজন তা খুঁজুন।
৫. আসল প্রোডাক্টের সাথে তুলনা করুন
যদি আপনি আসল প্রোডাক্ট সম্পর্কে অবগত থাকেন তবে নকল পণ্যটি ধরা সহজ হয়। প্যাকেজিং, টেক্সচার, গন্ধ বা কালারের পার্থক্য দেখে বোঝা যায়। মূল ব্র্যান্ডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রোডাক্টের ছবি দেখে তুলনা করে নিতে পারেন।
৬. গন্ধ এবং টেক্সচার যাচাই করুন
অনেক সময় নকল প্রোডাক্টে অতিরিক্ত সুগন্ধি বা স্ট্রং কেমিক্যাল গন্ধ থাকে, যা আসল প্রোডাক্টে কম দেখা যায়। অথেনটিক পণ্যতে সাধারণত গন্ধ হালকা এবং টেক্সচার মসৃণ থাকে, যা ত্বকের সাথে ভালোভাবে মিশে যায়।
৭. রঙের সাথে মিলিয়ে নিন
নকল প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে প্রায়ই এমন সব রং ব্যবহার করা হয় যা আসল ব্র্যান্ড বাজারে আনে না। প্রোডাক্ট কেনার আগে মূল প্রোডাক্টের কালারের সাথে মিলিয়ে নিন, যাতে কোনো অমিল না থাকে।
৮. টেস্টার ব্যবহার করুন
যদি টেস্টার থাকে, তবে কেনার আগে অবশ্যই তা চেখে দেখুন। অথেনটিক প্রোডাক্ট দীর্ঘক্ষণ ত্বকে স্থির থাকে এবং সহজে মুছে যায় না। আবার কিছু প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে, যেমন লিপস্টিক বা ফাউন্ডেশন, ত্বকের সাথে মিশে গেলে বুঝতে পারবেন এটি আসল কিনা।
৯. রিভিও দেখে কিনুন
অনালাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে কাস্টমার রিভিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে, কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনলাইনের রিভিও দেখে কেনার চেষ্টা করবেন।
এই সম্পর্কে আরও কিছু প্রশ্নের উত্তর
প্যাকেজিং কিভাবে পরীক্ষা করবেন?
বারকোড এবং সিরিয়াল নাম্বার কিভাবে যাচাই করবেন?
দাম কিভাবে যাচাই করবেন?
যদি কোনো পণ্যের দাম খুব কম মনে হয়, তাহলে সেটি আসল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কেনার আগে প্রকৃত দাম যাচাই করুন।
বিউটি প্রোডাক্ট কোথায় পাবো?
আসল পণ্যের সাথে কিভাবে তুলনা করবেন?
সতর্ক থেকে স্মার্ট কেনাকাটা করুন
বাংলাদেশের বাজারে নকল প্রোডাক্টের বিস্তার থাকায় ক্রেতাদের অনেক বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অথেনটিক প্রোডাক্ট না কিনলে শুধু অর্থের অপচয় নয়, ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কাও থাকে।
তাই এই কৌশলগুলো অনুসরণ করে আপনি নকল পণ্য থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন এবং অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারেন।
এখন থেকে সতর্কভাবে বিউটি প্রোডাক্ট কিনুন, নিজেকে এবং আপনার ত্বককে সুরক্ষিত রাখুন।