পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের চারটি কাজ উল্লেখ কর
পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের চারটি কাজ উল্লেখ কর |
পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের চারটি কাজ উল্লেখ কর
- অথবা, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের কার্যাবলি বর্ণনা কর ।
- অথবা, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের ভূমিকা তুলে ধর।
উত্তর ভূমিকা : উপজাতীয় লোকজনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান এবং বহুবিধ চাহিদা পূরণ তথা প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে তাদের জীবনমানের অগ্রগতির লক্ষ্যে এ পরিষদ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
স্থানীয় পর্যায়ে কোনো প্রশাসন ব্যবস্থা না থাকায় গণতন্ত্রের পূর্ণ সুবিধা তারা ভোগ করতে পারে না। স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে জীবনমানের নিশ্চয়তা বিধান করাই পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের অন্যতম কাজ।
● পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের কার্যাবলি : পার্বত্য এলাকা ও এর জনগোষ্ঠীর উন্নতি ও অগ্রগতি সাধনের বিশেষ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের কার্যাবলি সাধিত হয়।
পরিষদের কার্যাবলি নিম্নে বর্ণনা করা হলো :
১. আইনশৃঙ্খলা রক্ষা : পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় আঞ্চলিক পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি, মাদকদ্রব্য ব্যবহার ইত্যাদি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে। স্থানীয় পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ পুলিশ বিভাগের কার্যক্রমে নীতিমালা প্রণয়ন করে ।
২. প্রশাসন ও উন্নয়ন বোর্ডের কার্যাবলি : পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রশাসন ও উন্নয়ন বোর্ডের সুষ্ঠু পরিচালনা করা আঞ্চলিক পরিষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
উন্নয়ন বোর্ড অভ্যন্তরের সব সমস্যা সঠিকভাবে পর্যালোচনা করছে কি না, সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে কি না ইত্যাদি।
৩. এনজিও কর্মকাণ্ডে সহায়তা : পার্বত্য অঞ্চলে কর্মরত এনজিও যেসব কাজ করে তাদের কার্যক্রমে আঞ্চলিক পরিষদ সহায়তা করে।
তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের তথ্য সরবরাহ করার পাশাপাশি নিজেরাও তথ্য গ্রহণ করে। এনজিওসমূহ পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নমূলক কাজের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
৪. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা : যেকোনো প্রকার দুর্যোগকালীন মুহূর্তে জনগণকে সহায়তা প্রদান করে। দুর্যোগ পূর্ববর্তী সময়ে জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার সাথে দুর্যোগপরবর্তী সময়ে ত্রাণ প্রদান, স্থানান্তর, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং পুনর্বাসনমূলক অনেক সেবা প্রদান করে থাকে ।
৫. অবকাঠামোগত উন্নয়ন : আঞ্চলিক পরিষদের অধীনে পৌরসভাসহ আরও স্থানীয় প্রশাসন পরিচালিত হয়।
এসব প্রশাসনের জন্য উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস, মৎস্য অফিস, কৃষি সম্প্রসারণ অফিস, সমবায় অফিস ইত্যাদি তত্ত্বাবধান ও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে হয়।
এছাড়াও ভবন নির্মাণ, আবাসিক ভবন নির্মাণ, রাস্তাঘাট সংস্কারসহ নানা অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ জনগণের সার্বিক কল্যাণের উদ্দেশ্যে পরিচালিত একটি প্রশাসন।
পার্বত্য এলাকা ও জনগোষ্ঠীর উন্নতি ও অগ্রগতি সাধনই এ পরিষদের বিশেষ উদ্দেশ্য। শেখ হাসিনার শাসনামলে পার্বত্য এলাকার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য এ পরিষদটি কার্যকরীভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।