বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত |
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত :
ব্যক্তির বয়স ও সম্পর্ক:
- বয়স ও সম্পর্কের ধরন অনুযায়ী সম্বোধন করা:
- বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে 'আপনি' ব্যবহার করা।
- ছোটদের প্রতি স্নেহের সাথে 'তুমি' ব্যবহার করা।
- সমবয়সীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করা।
ভাষা ও আচরণ:
- স্পষ্ট ও সাবলীলভাবে কথা বলা।
- অসম্মানজনক শব্দ বা অঙ্গভঙ্গি না করা।
- অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা।
- ধৈর্য ধরে কথা বলা।
বিষয় ও পরিবেশ:
- প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে কথা বলা।
- অপ্রাসঙ্গিক বা বিরক্তিকর বিষয় এড়িয়ে চলা।
- ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে গল্প না করা।
- পরিবেশের রীতিনীতি মেনে চলা।
- গোপনীয় তথ্য প্রকাশ না করা।
অন্যান্য:
- চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা।
- ব্যক্তিগত প্রশ্ন না করা।
- সম্মানজনক শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা।
- অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া।
- ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
কিছু অতিরিক্ত টিপস:
- হাসিমুখে কথা বলা।
- সচেতনভাবে শরীরের ভাষা ব্যবহার করা।
- নিজের ভুল স্বীকার করতে দ্বিধা না করা।
- অন্যের মতামতকে সম্মান করা।
- বিতর্ক এড়িয়ে চলা।
মনে রাখবেন:
- মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক দক্ষতা।
- এটি ব্যক্তির মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও পরিণততার পরিচয় দেয়।
- সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এই দক্ষতা সহায়ক।
উল্লেখ্য:
- এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়।
- বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করার প্রয়োজন হতে পারে।
- সর্বোপরি, সচেতন ও বুদ্ধিমত্তার সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
- বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় বিবেচন করা উচিত:
ব্যবসায়িক পরিবেশে:
- পোশাক পরিচ্ছদে আনুষ্ঠানিকতা বজায় রাখা।
- সময়নিষ্ঠা ও punctuality।
- স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলা।
- সম্মানজনক শিরোনাম ব্যবহার করা।
সামাজিক অনুষ্ঠানে:
- পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পোশাক পরিধান করা।
- হালকা-ফুলকো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা।
- অন্যদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ