বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎসগুলোর বর্ণনা দাও
বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎসগুলোর বর্ণনা দাও |
বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎসগুলোর বর্ণনা দাও
- অথবা, বাংলাদেশে সরকারি আয়ের উৎসগুলো বর্ণনা কর ।
- অথবা, বাংলাদেশে সরকারি আয়ের প্রধান প্রধান উৎসসমূহ আলোচনা কর ।
উত্তর ; ভূমিকা : একটি দেশের সরকার জাতীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য বিভিন্ন উৎস হতে যে অর্থ সংগ্রহ করে তাকে সরকারি আয় বলা হয় ।
সরকারি আয়ের প্রধান ও নিশ্চিত উৎস হচ্ছে কর। এছাড়া অন্যান্য উৎস হতেও সরকার আয় সংগ্রহ করে থাকে।
বাংলাদেশ সরকার জনকল্যাণ সাধন, প্রশাসন পরিচালনা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে। এ ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকারকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ আয় করতে হয় ।
বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎসসমূহ : বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎসগুলোকে দুভাগে ভাগ করা যায় ।
যথা : ক. কর রাজস্ব ও
খ. কর বহির্ভূত রাজস্ব ।
নিম্নে বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎসমূহের বর্ণনা দেওয়া হলো :
ক. কর রাজস্ব : কর রাজস্ব সরকারি আয়ের প্রধান উৎস। বাংলাদেশ সরকার দেশের জনগণ, বিভিন্ন ব্যবসায় ও শিল্পকারখানার ওপর যে কর ধার্য করে তা থেকে প্রাপ্ত আয়কে কর রাজস্ব বলা হয়। বাংলাদেশ সরকারের কর রাজস্ব আয়ের উৎসসমূহ হলো—
১. আয়কর,
২. মূল্য সংযোজন কর,
৩. আমদানি শুল্ক,
৪. রপ্তানি শুল্ক,
৫. আবগারি শুল্ক,
৬. সম্পূরক শুল্ক,
৭. অন্যান্য কর ও শুল্ক ।
খ. কর বহির্ভূত রাজস্ব : বাংলাদেশ সরকার কর ও শুল্ক ছাড়াও আরও অনেক উৎস হতে রাজস্ব সংগ্রহ করে থাকে। এ উৎসগুলো থেকে অর্জিত রাজস্বকে কর বহির্ভূত রাজস্ব বলে । এসব উৎসসমূহ হলো—
১. লভ্যাংশ ও মুনাফা,
২. সুদ,
৩. প্রশাসনিক ফি এবং
৪. জরিমানা, দণ্ড ও বাজেয়াপ্তকরণ ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর উল্লিখিত উৎস থেকে আয় করে থাকে । কিন্তু এ আয়ের পরিমাণ যথেষ্ট না হওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে বিদেশি ঋণ, সাহায্য, দান, অনুদান, এসবের ওপর নির্ভর করতে হয়।
২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের বাজেটে বাংলাদেশ সরকারের মোট রাজস্ব আয়ের পরিমাণ হলো ১,৭৭,৪০০ কোটি টাকা ।