পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ for class 6, 7, 8, 9, 10 hsc
প্রিয় শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা আজকে আপনাদের সাথে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করবো। আপনারা হয়তো জানেন এই ভাবসম্প্রসারণ কম বেশি সব
পরীক্ষাতেই আসে। তাই ভাবসম্প্রসারণ পড়া খবুই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোন প্রকারের
ভাবসম্প্রসারণ আমাদের ওয়েবসাইটে পাবেন। যাই হোক, চলুন আর দেরি না করে শুরু করি
আজকের টপিক।
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আশীর্বাদে
ভালো আছি। আজকের নতুন টপিকে আপনাকে স্বাগতম!
শুরু করার আগে কিছু কথা বলে নেই। ভাবসম্প্রসারণে নম্বর বেশি পাওয়া খুব সঠিক নয়।
শুধু আপনাকে কিছু কিছু জায়গায় খেয়াল রাখে হবে। আর তা হলো ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম। এই নিয়ম জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই লিখতে বা পড়তে পারবেন।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি
ভাবসম্প্রসারণঃ শুমই মানুষের জীবনের সৌভাগ্যের দরজা খুলে দেয়। প্রতিটি
মানুষেরই সৌভাগ্য কাম্য কিছু পরিশ্রম ছাড়া অর্জন করা অসম্ভব।
শ্রমই কল্যাণ বয়ে আনে। পরিশ্রমই একজন মানুষকে জীবনে প্রকৃত দ্বারপ্রান্তে পৌছে
দেয়। সৌভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে কোন মানুষ জন্ম নেয় না। কর্মের মাধ্যমে তার
ভাগ্য গড়ে নিতে হয়। কথায় আছে “যেমন কর্ম তেমন ফল”। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে শক্তি ও
বুদ্ধিমাত্তা প্রাদান করেছেন পরিশ্রম করার জন্য। বিনা পরিশ্রমে কোনো কিছু অর্জন
করা যায় না। মেধা, বুদ্ধি, কর্মশক্তি ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য মানুষকে অন্যান্য প্রানী
থেকে স্বাতন্ত্র্য দান করেছে। এই সকল বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে, পরিশ্রমের মাধ্যমে
মানুষ সফলতা বা সৌভাগ্যের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়।
মানবজীবনে সাফল্য লাভ করতে হলে অলসতায় “গা” না ভাসিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
প্রাচীনকাল হতে বর্তমান পর্যন্ত যত মনীষী সাফল্যের স্বর্ণশিখরে আরোহন করেছেন
প্রত্যেকেই কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তাইতো বলা হয় সফরতা অর্জনের মূলে রয়েছে পরিশ্রম।
ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে সফলতা অর্জনের শ্রম অপরিহার্য।
পৃথিবীতে যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী সেই জাতি তত বেশি উন্নত। তাই পরিশ্রকে সফলতার
মূল চাবিকাঠি বলা হয়। অপরদিকে মেধা থাকা সত্ত্বেও, যদি কেউ তা কাজে না লাগায়।
তাহলে দুর্ভাগ্য তার জীবনকে অক্টোপাসের মতো ঘিরে ফেলে। আমরা যদি ভালো ফুটবলার হতে
চাই তাহলে আমাদের মাঠে অনুশীলন করতে হবে, ঘরে বসে শুধু স্বপ্ন দেখলে হবে না।
তেমনি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হতে হলে শ্রম, সাধনা ব্যতীত বিকল্প করা যায়
না। তাই নিঃসংশংয়ে এক কথায় বলা যায় পরিশ্রমের দ্বারাই সৌভাগ্য অর্জন করা
যায়, পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।
পরিশ্রম ছাড়া জীবনের সফলতার কথা চিন্তা করা যায় ন। অন্যদিকে শ্রমহীন অলস ব্যক্তি
ব্যর্থতার পর্যবসিত হয়।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ Class 6, 7, 8, 9, 10 | JSC, SSC, HSC
মূলভাবঃ মানুষ নিজেই নিজের সৌভাগ্য রচনা করতে পারে। যার একমাত্র হাতিয়ার
পরিশ্রম।
সম্প্রসারিত ভাবঃ এই পৃথিবীতে যারা জ্ঞানী, গুণী ও সম্পদশালী তাদেরকে আমরা
সৌভাগ্যবান বলে থাকি। মনে করি ভাগ্যই তাদেরকে জ্ঞানী, গুণী ও সম্পদশালী হতে
সহায়তা করেছে। আসলে পৃথিবীতে ভাগ্য বলতে কিছুই নেই। মানবজীবনে সফলতা লাভের জন্য
পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই।বিদ্যার্থীমাত্রই যথারীতি পরিশ্রম করে বিদ্যার্জন করে
এবং অর্জিত বিদ্যার বদৌলতে মান-সম্মান ও ধনসম্পদ অর্জন করে।
জীবন মানেই সংগ্রাম। আর সংগ্রাম করে পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে, জয়লাভ করতে হলে,
পরিশ্রম করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। ইচ্ছা করলেই মানুুষ অক্লান্ত পরিশ্রম ও
নিরলস প্রচেষ্টার দ্বারা নিজের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে পারে। তবে সমাজ সংসারে
এমন অনেক কর্মবিমুখ আছে যারা কিনা আকাশ-কুসুম কল্পনা করে কাটায়, যা তাদেরকে
কখনই অভীষ্ট লক্ষে পৌছাতে সাহায্য করে না। বরং তাদের জীবন ব্যর্থতায় পরিণত হয়।
পরিণামে দুঃখ দৈন্যতায় পতিত হয়ে ভাগ্যকে দোষারোপ করে। কিন্তু তারা হয়তো জানে
না সৃষ্টিকর্তা স্বেচ্ছাপ্রণােদিত হয়ে কারাে ভাগ্যের উন্নয়ন করে না। যদি না সে
পরিশ্রম করে।
মানব ইতিহাস পর্যালােচনা করলে দেখা যায় যে, সৃষ্টির সূচনালগ্নে অসহায় মানুষেরা
যখন হিংস্র প্রাণীর উপদ্রব ও বৈরী প্রকৃতির নির্মমতার হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য
বুকফাটা আহাজারি শুরু করেছিল, তখন কোনাে ঐশীশক্তি বা দেবতা তাদের আহবানে সাড়া
দেয়নি। তখন মানুষই একে অন্যের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে এবং পরস্পরের
সাহায্য-সহযােগিতায় বৈরী প্রকৃতির সাথে নিরলস সংগ্রাম করে নিজেদের অস্তিত্ব
টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
সুতরাং, সাফল্য লাভ করতে হলে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। পরিশ্রম ছাড়া কোনো
ব্যক্তি, দেশ ও জাতির উন্নতি লাভ করতে পারে না।
মন্তব্যঃ পরিশ্রম ছাড়া জীবনের সফলতার কথা চিন্তা করা যায় না। সফলতা অর্জন
করতে হলে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ নিয়ে কিছু কথা
আমাদের এই আর্টিকেলে দুইটা ভাব-সম্প্রসারণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে
যে ভাবসম্প্রসারণটি সহজ মনে হয় সেইটি পড়তে বা লিখে নিতে পারেন। তবে সব সময়
চেষ্টার করবেন
ভাবসম্প্রসারণ
ঢালায় লেখার জন্য। আশা করি বুঝতে পারছেন।
বন্ধুরা এই টপিকটি পুরোটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, যদি এই টপিকের কোনকিছু বুঝতে
না পাড়েন তাহলে নিচে কমেন্ট করুন। আশা করি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। আর আপনাদের
যদি নতুন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানান আমরা আপনাদের
সেই বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করবো।