ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি (What is virtual reality)?
হাই প্রিয় বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। কম্পিউটারর শ্রেণিবিভাগ (Computer classification) এই বিষয়গুলি নিয়ে আমি গতপর্বে পোস্টটিতে আলোচনা করেছি। আজকে আমরা জানবো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি (What is virtual reality)? তাহলে বন্ধুরা শুরু করা যাক।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি (What is virtual reality)?
প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয়। কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদবেগকারী প্রযুক্তি নির্ভর কল্পনাকে ভাচুয়াল রিয়েলিটি (What is virtual reality) বলে।
একটু বিশ্লেষন করে বলা যাক, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হচ্ছে নিয়ন্ত্রিত সিস্টেম যাতে মডেলিং (Modelling) এবং অনুকরণবিদ্যার (Simulation) প্রয়োগের মাধ্যমে মানুষ কৃত্তিমভাবে ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য পরিবেশের সাথে সংযোগ স্থাপন বা উপলব্ধি করতে পারে।
এই পদ্ধতিতে তৃমাত্রীক ইমেজ তৈরির মাধ্যমে অসম্ভব কাজ সম্ভব করা। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ যেখানে বাস্তবের সাদ অনুভব করি। ধরুন কোন একজন ব্যবহারকারীকে মনিটরের পর্দায় মহাশূন্যের কোন একটি গ্রহের ছবি দেখানো হচ্ছে। এমন অবস্থায় ব্যবহারকারীতার সংবেদনশীল গ্লোবস পরা হাত নাড়াচাড়া করবে। নাড়াচাড়ার ধরন এমন যে বাস্তটিকে ব্যবহারকারী হাত দিয়ে ধরছে।
হাতের নাড়াচাড়ায় মনিটরের চিত্রের পরিবর্তন এবং বস্তুটিকে ধরার পর বস্তুর অবস্থাও মনিটরে দেখা যায়। হেডফোনের সাহায্যে বস্তুকে ধরা, ধরার পর বস্তুর অবস্থা ও অবস্থানের পরিবর্তনের সকল প্রক্রিয়ার শব্দ শোনা যায়। ব্যবহারকারী পৃথিবীর কর্মকান্ডের সহিত মনেপ্রাণে এবং অনুভবে একাত্ম হয়ে যায়। এই ভাবে ব্যবহাকারী কল্পনার জগতে একাত্ম হয়ে যাওয়াকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির কত প্রকার (How many types of virtual reality)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির (virtual reality) পাঁচ প্রকার।
- Fully-immersive
- Semi-immersive
- Non-immersive
- Augmented Reality
- Collaborative VR
Fully-immersive
Fully-immersive ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হল একটি ডিজিটাল প্রযুক্তি। যা ব্যবহারকারীদের বাস্তব জগতের মতো কৃত্রিম পরিবেশ অনুভব করতে দেয়। অন্য কথায়, ব্যবহারকারীরা ভিজ্যুয়াল, অডিটরি এবং হ্যাপটিক্স ব্যবহার করে ভার্চুয়াল কম্পিউটার উৎপন্ন করে চারপাশ উপলব্ধি করে।
ভার্চুয়াল বাস্তবতার বিপরীত যেখানে ব্যবহারকারীরা বাস্তব জগতের সাথে একটি শক্তিশালী সংযোগ বজায় রাখে। যখন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকে তারা সঠিকভাবে বাস্তব বস্তুর সাথে যোগাযোগ করতে পারে না। পরিবর্তে, একটি হেড-মাউন্টেড ডিসপ্লে (HMD) পরিধান করে এবং ওয়্যারলেস কন্ট্রোলার ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা ডিজিটাল 3D পরিবেশ তদারক করতে পারে। কম্পিউটার উৎপাদিত সামগ্রীর সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
Semi-immersive
Semi-immersive virtual reality বলতে বোঝায় একটি নির্দিষ্ট ধরনের Virtual Reality যা ব্যবহারকারীদের ভার্চুয়াল ত্রি-মাত্রিক পরিবেশের অভিজ্ঞতা লাভ করতে দেয়। যখন বাস্তব-জগতের আশেপাশের ভিজ্যুয়াল, শ্রবণ, গন্ধ এবং হ্যাপটিক্সের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং সেইসাথে ভৌত বস্তুর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে। Semi-immersive virtual reality এর মাধ্যমে আপনি দেখতে পারেন আপনার চারপাশে কী ঘটছে এবং আপনার প্রয়োজনীয় বস্তুর সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারেন।
Non-immersive
নন-ইমারসিভ VR হল এক ধরনের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। একটি Non-immersive VR সিস্টেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল যে ব্যবহারকারীরা তাদের চারপাশে কি ঘটছে সে সম্পর্কে সচেতন থাকাকালীন শারীরিক পরিবেশের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন। নন-ইমারসিভ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সিস্টেমগুলি কম্পিউটার বা ভিডিও গেম কনসোল, ডিসপ্লে এবং কীবোর্ড, মাউস এবং কন্ট্রোলারের মতো ইনপুট ডিভাইসগুলির উপর নির্ভর করে।
Augmented Reality
অগমেন্টেড রিয়েলিটি (Augmented Reality) স্মার্টফোনে ক্যামেরা ব্যবহার করে প্রায়ই লাইভ ভিউতে ডিজিটাল উপাদান যোগ করে। বর্ধিত বাস্তব অভিজ্ঞতার উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে স্ন্যাপচ্যাট লেন্স এবং পোকেমন গো গেম। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (AR) একটি সম্পূর্ণ নিমজ্জন অভিজ্ঞতা বোঝায় যা প্রকৃত জগতকে বন্ধ করে দেয়।
HTC Vive, Oculus Rift বা Google Cardboard এর মতো VR ডিভাইস ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের অনেকগুলি বাস্তব জগতে এবং কাল্পনিক পরিবেশে স্থানান্তরিত করা যেতে পারে।
Collaborative VR
Collaborative VR প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের দূরবর্তী অবস্থান থেকে ভার্চুয়াল বাস্তবতায় সহযোগিতা করার অনুমতি দেয়। এই সমাধানগুলি ব্যবহারকারীদের একই ভার্চুয়াল স্পেসে দেখা করতে এবং বক্তিতা এবং পাঠ্য উভয় মাধ্যমেই যোগাযোগ করতে সক্ষম করে।
যেমন “PUBG” গেম খেলা কালিন সময়ে আপনি অন্যান্যদের সাথে এক আধুনিক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি তে প্রবেশ করতে পারবেন। গেম খেলার পাশাপাশি আপনি আপনার Headset, Microphone, এর মাধ্যমে একে অপরের সাথে কথাও বলতে এবং শুনতে পারেবেন আবার চ্যাটিংও করতে পারবেন।
ভাচুয়াল রিয়েলিটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার (Important use of virtual reality)
ভাচুয়াল রিয়েলিটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারের মধ্যে কম্পিউটার নির্ভর নকশায়ন, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, ড্রাইভিং নির্দেশনা, সমুদ্র ভ্রমন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বৈমানিক বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ, মেডিকেল চেকআপ ও চিকিৎসা, মহাকাশ পর্যবেক্ষণ, চাকুরীজীবিদের প্রশিক্ষণ, ত্রিমাত্রিক ভিডিও এবং চিত্র সংবলিত গেইম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব (Impact of virtual reality in daily life)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি ব্যবহার করে অবাস্তব সব দৃশ্যকে বাস্তব দৃশ্য পরিণত করা হচ্ছে। বিভিন্ন পেশা ও গবেষনায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারের ফলে সমাজে এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
শিশু শিক্ষায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Virtual reality in child education)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে শিশুদের বর্ণ পরিচয়, ছবি আঁকা, জ্যামিতি অঙ্কন, এর মতো শিক্ষাগুলো সহজে দেওয়া যায়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অভিজ্ঞতা একটি অনন্য এবং শক্তিশালী উপায়ে শিশুদের জড়িত এবং অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা রাখে। পাঠ্যক্রম সারিবদ্ধ বিষয়বস্তু এবং কাঠামোগত ভার্চুয়াল রিয়েলিটি পাঠ পরিকল্পনা ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে।
বিনোদনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Virtual reality in entertainment)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবাস্তব সব দৃশ্যকে বাস্তব দৃশ্যে পরিণত করা হচ্ছে। টাইটানিক, সিন্দাবাদ, স্পাইডারম্যান ইত্যাদি সব ছবিতে আশ্চার্য দৃশ্য দেখানো হয়েছে। তা সবই ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে বাস্তবসম্মত গ্রাফিক্স বা ছবি তৈরি করে।
ডাক্তারি প্রশিক্ষণে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Virtual reality in medical training)
ডাক্তারদের প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করা হচ্ছে। সার্জিক্যাল প্রশিক্ষনে প্রকৃত মানুষ কাঁটা ছেড়া না করে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ডুবলিকেট কপির মাধ্যমে প্রশিক্ষন প্রদান করে। অতি নিক্ষুদভাবে অপারেশন বিদ্যা আয়ত্ব করা হচ্ছে। ফলে শিক্ষানবিশ ডাক্তারগন সহজে বাস্তবে অপারেশন থিয়েটারে কাজ করার অভিজ্ঞাত অর্জন করছে।
মিলিটারি, বিমান ও নৌবাহিনীতে প্রশিক্ষনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Virtual reality in military, air and military training)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে মিলিটারি, বিমান ও নৌবাহিনীতে অন্ত্র চালনা প্রশিক্ষণ, আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার, বিমান চালনা প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কাজ নিখুঁতভাবে কম সময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে বাস্তবে বিমান না চালিয়ে একজন দক্ষ বইমানিক হিসাবে গড়ে উঠছে।
কার ড্রাইভিংয়ে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Car Driving Virtual Reality)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ড্রাইভিং এর নানা নিয়ম কানন গুলো খুব সহজেই আয়ত্ব করা যাই। বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে প্রশিক্ষণ অতি সহজেই বাস্তবে গাড়ি চালানোর সাহস অর্জন করতে পারে। ফলে সুদক্ষভাবে কার ড্রাইভিংয়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সম্ভব হয়।
আরও পড়ুনঃ
- কম্পিউটারের ইতিহাস (History of Computer)
- ফ্রীল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবো? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?
- টেকনিক্যাল এসইও কি (What is Technical SEO)?
এই টপিক টি পুরোটা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, এই টপিক এর ভিতর কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে আপনারা কমেন্ট করুন। আশা করি, উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ Amarload.com এর সাথে থাকার জন্য।