অন-পেজ SEO কী? কেন এবং কিভাবে অন-পেজ SEO করতে হয়?
হাই প্রিয় বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আজকে আপনাদেরকে “অন-পেজ SEO কী? কেন এবং কিভাবে অন-পেজ SEO করতে হয়?” সম্পর্কে জানাবো। বন্ধুরা গত পর্বে আমারা আলোচনা করেছিলাম “SEO কি এবং কেন SEO গুরুত্বপূর্ণ?” যারা এই পর্বটি দেখে নি। তারা আজকের পর্ব শুরু করার আগে গত পর্ব দেখে আসুন। অন্যথায় এই নতুন পর্বে কিছুই বুঝতে পারবেন না। তাহলে বন্ধুরা শুধু করা যাক আজকের টপিক।
Search Engine Optimization বা SEO শিখলে আপনি ইন্টারনেটের যাবতীয় খুটিনাটি বিষয়ে শিখতে পাড়বেন। মার্কেটের Trend, Draft বুঝতে পারবেন। তাই SEO কাজ না করলেও আগে SEO শিখে নিবেন। তখন আপনাকে Internet আর Freelancing মার্কেট নিয়ে কেউ বোকা বানাতে পারবে না।
আজকে আমরা আলোচনা করবো White Hat SEO দুটি পদ্ধতি ।
- On Page SEO
- Off Page SEO
On Page SEO: On Page SEO বলতে ওয়েব পেজকে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো রেজাল্ট পাওয়ার জন্য ওয়েব পেজের ভিতরে যে সকল অপটিমাইজেশন করা হয় তাকে আমরা On Page SEO বলতে পাড়ি।
অন্যভাব বলতে গেলে, আমরা ওয়েব পেজে অনেক কিছু আপলোড করে থাকি ভিডিও, অডিও, আর্টিকেল ইত্যাদি এই সকল বিষয়কে সার্চ ইঞ্জিনের উপযোগী করে তোলাকেই আমরা On Page SEO বলতে পাড়ি।
আমরা ওয়েব পেজে Tag, Backlink, সুন্দর Title যাদের মাধ্যমে On Page SEO করে থাকি। আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি অন-পেজ এসইও নিয়ে দিধাদন্ধে থাকে। আবার অনেকেই SEO শিখতে চাইলেও Technical Terms and Conditions বেশি থাকার কারণে অন-পেজ এসইও থেকে এড়িয়ে যাই। তবে জনপ্রিয় CMS বা Content Management System সম্পের্কে যদি ভালো আইডিয়া থাকে তাহলে On Page SEO করাটা খুবই সহজ।
বন্ধুরা আপনার ওয়েব সাইটে অন-পেজ SEO করতে কি কি করতে হয়?
1. Meta Title - কোন সাইট বা পেজের জন্য সার্চ ইঞ্জিনগুলাতে যে টাইটেল ব্যবহার করতে চাচ্ছেন সেইটার হলো Meta Title. মেটা টাইটেল অবশ্যই ৫৬-৬০ অক্ষরের মধ্যে লিখতে হয়। তবে চেষ্টা করতে হবে যেন Targeted কি-ওয়ার্ড আমাদের প্রথমেই বসে। এবং এরই সাথে খেয়াল রাখতে হবে Meta Title যেন আকর্ষণীয় হয়। অর্থ্যৎ ভিজিটররা দেখা মাত্রই ক্লিক করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
2. Meta Description - Meta Description হলো আপনার সাইট বা পেজের ছোট্ট একটা বিবরণ। তবে চেষ্টা করতে হবে মেটা ডেসক্রিপশন ১৫০-১৬০ অক্ষরের মধ্যে রাখা। তাছাড়াও Meta Descriptione অবশ্যই আপনার Targeted কি-ওয়ার্ড রাখা। দুই এর অধিক যেন না হয়।
3. LSI Keyword - Latent Semantic Indexing বা LSI. সহজভাবে বলতে গেলে আপনার কি-ওয়ার্ড এর সমার্থক শব্দগুলাকে LSI বলে। এমনকি আপনার keyword কে Google এ সার্চ দেন। স্ক্রল করে নিচে আসার পড়ে দেখবেন Google কিছু Suggested Keyword আপনাকে Suggested করছে। ওইগুলাকে আমরা LSI বলতে পাড়ি।
4. Keyword Density - Keyword Density হলো কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশানের একটি উপাদান। যা একটি ওয়েব পেজে কতবার একটি টার্গেট কীওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে তা বোঝায়। এখানে টার্গেট কী-ওয়ার্ডটি পৃষ্ঠায় শব্দের সংখ্যার তুলনায় কত ঘন ঘন প্রদর্শিত হয়। এটিই হলো মূলত Keyword Density.
5. URL structure - URL structure হলো ওয়েব ঠিকানা যা আমরা একটি ওয়েব পৃষ্ঠা অ্যাক্সেস করার জন্য একটি ব্রাউজারে প্রবেশ করি। ওয়েব URL কে লিঙ্কও বলা হয়। অনেক লোক সরাসরি আপনার ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করতে একটি লিঙ্ক ক্লিক করবে।
6. Content length - Content length বলতে বুঝায় আপনার ওয়েব সাইটে পোষ্ট লেখার দৈর্ঘ্যকে বুঝায়। মাত্র কয়েক বছর আগে, কিছু SEO বিশেষজ্ঞ দাবি করেছিলেন যে ব্লগ পোস্টগুলি প্রায় ২৫০ শব্দ দীর্ঘ হওয়া উচিত। অবিশ্বাস্যভাবে, কেউ কেউ ভেবেছিলেন যে ২৫০ শব্দের পাঠ্যগুলি দীর্ঘ দিকে ছিল। আজ, ১৫০০থেকে ৫০০০ শব্দ একটি আদর্শ, এবং ৩০০ শব্দের কম একটি ব্লগ পোস্টকে পাতলা বিষয়বস্তু হিসাবে মনে করা হয়।
7. Heading Tag - Hading Tag হলো ওয়েব পেজকে কোন বিষয়ে শিরোনাম বা হেডিং দেওয়ার জন্য Hading Tag ব্যবহৃত হয়।
- H1 ট্যাগগুলি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্যকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যেমন একটি বিষয়বস্তুর মূল শিরোনাম।
- H2 এবং H3 ট্যাগগুলি সাধারণত উপশিরোনাম হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
- অবশেষে, H4, H5, এবং H6 ট্যাগগুলি সেই উপধারাগুলির মধ্যে আরও কাঠামো প্রদান করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
8. Internal Link Structure - Internal Link Structure হলো আপনার ওয়েব সাইটের এক পেজ অন্য পেজে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। Internal Link Google কে আপনার সাইটের সমস্ত পৃষ্ঠাগুলি খুঁজে পেতে, সূচীকরণ করতে এবং বুঝতে সাহায্য করে৷। সংক্ষেপে বলতে গেলে, Internal Link গুগলে উচ্চ র্যাঙ্কিং চায় এমন যেকোনো সাইটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
9. Sitemaps - একটি ওয়েবসাইটের সাইটম্যাপ, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পৃষ্ঠাগুলি তালিকাভুক্ত করে, এইভাবে সার্চ ইঞ্জিনগুলি সেগুলো খুঁজে পেতে এবং ক্রল করতে থাকে। সাইটম্যাপগুলি আপনার ওয়েবসাইটের কাঠামো বুঝতে সাহায্য করে। আপনার ওয়েবসাইটকে সঠিকভাবে চালনা করতে সহজ করে তোলে।
10. Robots.txt - robots.txt হচ্ছে এক ধরনের দিকনির্দেশনা ফাইল। অর্থ্যৎ যার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে নির্দেশ করতে পারেন সে কোথায় কোথায় প্রবেশ করেতে পারবে এবং কোথায় প্রবেশ করতে পারবে না। এখানে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের সকল কনটেন্ট সম্পর্কে জানাতে না চান তাহলে আপনি robots.txt ব্যবহার করে সেগুলোকে সার্চ ইঞ্জিন থেকে পৃথক করে রাখতে পারেন। যাতে করে সার্চ ইঞ্জিনগুলো ওই সকল ফাইলের অ্যাক্সেস না পাই।
11. Google Search Console - Google Search Console এই ওয়েবসাইটি গুগলের একটি ফ্রী সার্ভিস। যা আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে থাকে। কত লোক আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করছে এ সকল বিষয়ে আপনাকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে সাহায্য করে গুগল সার্চ কনসোল।
12. Google Analytics - Google Analytics হল একটি ওয়েবসাইট ট্রাফিক বিশ্লেষণ অ্যাপ্লিকেশন। যার মাধ্যমে, আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক এবং ভিজিটরের আচরণের উপর বিশাল ডেটা এবং প্রতিবেদনগুলি অ্যাক্সেস করতে পারেন।
এক কথায় বলতে গেলে, যে Tools এর মাধমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের মনিটরিং করতে পারবেন তাকে Google Analytics বলা হয়।
13. Responsive Design - Responsive Design হলো আপনার ওয়েবপেজকে সকল ডিভাইসে ভালো ভাবে দেখানোর জন্য Responsive ওয়েব ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।
একটি Responsive ওয়েব ডিজাইন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন স্ক্রীনের আকার এবং ভিউপোর্টের জন্য সামঞ্জস্য করবে।
এই টপিক টি পুরোটা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, এই টপিক এর ভিতর কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে আপনারা কমেন্ট করুন। আশা করি, উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ Amarload.com এর সাথে থাকার জন্য।